অপরাজিতা

এই শহরে হরেক রকম মানুষ আছে।
এই শহরেই হরেক রকম স্বপ্ন আছে,
স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প আছে।

পরী, আসমানী বা বানানো নামে!
সস্তা কিছু গারো রোজ পাউডার মেখে,
পার্কের কোনায় ল্যাম্পপোস্টের নিচে অপেক্ষা করার গল্প আছে।

রহস্যময় আলোছায়ায় ইটের প্রাচীর ঘেঁষে,
দাঁড়িয়ে থাকে কারো অপেক্ষায়।
কখনো অপমানিত হয়,
কখনো হয় নির্যাতিত।
অর্থের বিনিময় পরী কিংবা আসমানীদের পানকৌড়িতে ডুব দেয়া,
মনের খবর কেউ নেয় না।

আসমানির এটাই হয়তো অভ্যস্থ জীবন।
মাংসের স্বাদ এর কাছে,
কেউ ভালোবাসার ঘ্রাণ খুঁজে না।

সবার চোখে শুধু কামনা,
তাদের জন্য নেই কোনো মোহ,
ঠিক যেন সুতো কাটা ঘুড়ি,
যার কোন মালিক নেই।

আসমানিদের একাকী মাছরাঙ্গার মতো হতে হয়।
নিরন্তর ধারণ করতে হয় নিঃসঙ্গতার দহন।
একটা ভালোবাসার ঘর বাঁধার স্বপ্ন…
তাদের অভ্যস্থ জীবনী,অর্থের বিনিময়ে,
কাচের রেশমি চুড়ির মত ভেঙে যায়।

পরী কিংবা আসমানীদেরও,
জীবনজুড়ে হয়তো ভালোবাসা ছিল।
সমুদ্রের অতলে নোঙর ফেলতে না চাইলেও,
গাঙচিলের ডানায় ছোট্ট একটা দ্বীপের, ঠিকানার স্বপ্ন ঠিকই ছিল।

রাতের আড়ালে যেখানে কোলাহল,
বিউবলের সুর যেখানে থেমে যায়।
ঠিক সেখান থেকেই পরি কিংবা আসমানীদের দিন শুরু হয়।

আলোহীন বিষন্ন জীবনে,
ভালোবাসার মন্দির আর খোঁজা হয় না তাদের।
জীবন নির্ধারিত হয় কিছু লেনদেনে,
হয়তো তারা হারিয়ে যায়,
শরীরে ছড়িয়ে পড়া জীবাণুতে।

আলোহীন বিষন্ন জীবনে,
বেশ্যা নামে নীলাম্বরী অপরাজিতারা বেঁচে থাকে।
এক একটা দিন অপেক্ষা করে রাতের জন্য!
এক পশলা আলোহীন বিষন্নতা।

পরী কিংবা আসমানীরা,
তোমরা ভালো থেকো
শঙ্খচিলের ডানা

– নিপা হুসাইন

top wedding photographerin bangladesh

Related News

Leave a Comment